হার্ট ব্লক হলে কী ভাবে তা কমাবেন?


হার্ট ব্লক হলে কী ভাবে তা কমাবেন?





হার্টের ব্লক কমানোর সহজ উপায়:


আমরা যদি দেখি সভ্যতা আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান  অনেক উন্নত। কতটা উন্নত? লিভার নষ্ট হলে লিভার বদলে ফেলা যায়। কিডনি নষ্ট হলে কিডনি বদলে ফেলা যায়। হার্ট নষ্ট হলে হাঁটু বদলে ফেলা যায়। এই পরিমাণ চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নত, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে, বলা যেতে পারে যে পৃথিবী কখনও এই রকম স্বচ্ছলতা, এত খাদ্য এতো খাদ্যের সরবরাহ, পৃথিবী কখনো দেখে নাই ,এত সুযোগ সুবিধা এত কিছুর পরেও কিছু রোগ হু হু করে বাড়ছে এবং এই রোগ। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ফ্যাটি, লিভার ডিজিস। স্থূলতা অন্যতম এবং অবাক করা ব্যাপার এমন কোনও পরিবার খুঁজে বের করতে পারবেন না যে পরিবারে এই রোগগুলো নাই, এটা অবাক করা ব্যাপার। প্রশ্ন আসতে পারে কেন এর কারণ কী? এর কারণ খুব সহজ৷ কারণ একটাই। সেটা হচ্ছে আমাদের জীবনদৃষ্টি এবং জীবনাচারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের দৃষ্টি এবং জীবনাচারে মৌলিক পরিবর্তন ,এই পরিবর্তনই হচ্ছে আজকের এই রোগগুলোর পেছনের মূল কারণ। আপনি দেখেন পৃথিবীর স্বর্গ আমেরিকা যে আমেরিকার ভিসা পেলে আমরা অনেকেই জমি জমা সবকিছু বিক্রি করে চলে যেতে চাইব। সেই আমেরিকা কী অবস্থা? আমরা শুনি যে পৃথিবীর স্বর্গ আমেরিকা, হ্যাঁ। আমেরিকায় প্রতি চারজনে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত প্রতি নয়জনের একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি দুই জনে এক জন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত এবং প্রতি তিনজনে একজন অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা আক্রান্ত। প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক। প্রশ্ন করতে পারেন যে আমাদের কী অবস্থা? আমেরিকার খবর শুনে কী লাভ? আমাদের কী অবস্থা। আমাদের কী অবস্থা এটা বোঝার জন্য আমরা একটু মিডিয়ার সাহায্য নেব। এখন এক নম্বর কিলার ডিজিস হচ্ছে হৃদ্রোগ নাম্বার ওয়ান কিলার ডিজিস পাঁচ তরুণের একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে, অবাক করা ব্যাপার যে পাঁচজন তরুণ আপনি কোথাও যদি দেখেন যে বসে গল্প করছেন৷ আড্ডা মারছে। পাঁচজনের একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সম্ভাবনা আছে ক্যানসার এবং হৃদ্ রোগী বাড়ছেই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ক্যানসার এবং হৃদরোগ। বাড়ছে এবং বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। দেশে এক বছরে স্ট্রোকে মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুণ কোভিড পরবর্তী সময়ে গভীর সময় যে উদ্বেগ যে উত্তেজনা যে টেনশন চলছে সেই সময়ের পরে দেখা গেছে যে স্ট্রোক বেড়ে দ্বিগুণ  ঘরে ঘরে ডায়বেটিস। আর  10 জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আমরা বলছিলাম এই যে হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি, লিভার ডিজিজ, স্ট্রোক, হার্ট এট্যাক এই রোগগুলোকে একত্রে বলা হয় অসংক্রামক রোগ এবং এই অ সংক্রামক রোগের আর একটি আধুনিক  নাম আছে এবং এটিকে বলা হয় লাইফস্টাইল ডিজিস।


স্থুলতাই হল কলেস্টেরল। হাই কোলেস্টেরল হল রক্তের উচ্চচাপের প্রধান কারণ। রক্তে উচ্চ কলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন, হার্ট ডিজিস বা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার এই রোগগুলোকে বলা হয় লাইফস্টাইল ডিজিস। কারণ এই রোগগুলোর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে লাইফস্টাইল। । খাদ্যাভাস এবং পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে একদিকে আমাদের প্রতি আমরা অবিচার করছি,  আরাম আপনার শরীরকে আরাম দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এবং আমরা বলি যত আরাম ততই ব্যারাম যত আপনি শরীরকে আরাম দেবেন তত আপনি আপনার শরীর বিপদের দিকে নিয়ে যাবেন।  আবার অন্যদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা  অতিক্রম করার যে ক্রমাগত প্রচেষ্টা। কাজের বাড়তি চাপ এর সব কিছু প্রভাব পড়ছে আপনার মনে ,  সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, লন্ডন এত উন্নত চিকিৎসা, এত উন্নত চিকিৎসার পরেও এই রোগগুলো কেন তারা নিরাময় করতে পারছে না বা কেন এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। কারণ এই রোগগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে। যেরকম এর পেছনের কারণ হচ্ছে ভুল জীবনাচার ভুল লাইফস্টাইল।  ভাল হবে, হবে না এবং হচ্ছেও না। আপনি ওষুধ দিয়ে রোগগুলো প্রতিরোধ করতে পারবেন, নিরাময় করতে পারবেন৷ এবং কখনও কখনও নিয়ন্ত্রণও করতে পারবে না। আমরা অনেককেই দেখি যে ডায়াবেটিস কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ হয় না কেন? কারণ শুধু ওষুধে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় ৷ এই ডায়াবেটিস মানে টাইপ টু ডায়াবেটিস এটা লাইফ স্টাইল ডিজিস।


পুষ্টির সঠিকভাবে নিশ্চিত করুন: নিয়মিত ও সঠিক পুষ্টি খাবার খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবজি, ফল, প্রোটিন, ফাইবার উচিত পরিমাণে খাওয়া উত্তম।


নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম করা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন হাঁটা, যোগাসন, সাইকেলিং ইত্যাদি।


প্রতিরোধশীলতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: প্রতিরোধশীলতা বাড়াতে দিনের প্রারম্ভিক সময়ে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা ঘুম নিতে চেষ্টা করুন।


ধূমপান এবং পানি বিলম্ব করুন: ধূমপান থেমে দিতে হার্টের ব্লক কমানোর জন্য মানুষের উপকারী। পানি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।


অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাবধানতা: বেশি মেদ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রতি মাসে ওজন নিয়মিত চেক করা এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত মেদ কমাতে কোনো মাধ্যম ব্যবহার করা উচিত।


পরিমিত করা পানির সাথে বিভিন্ন বান্ধব শত্রু পদার্থ যেমন কফি, চা, সোডা এবং এনার্জি ড্রিংক পরিহার করুন।


দৈহিক পরিশ্রম কতটা হার্টের জন্য উপযোগী?


দৈহিক পরিশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। মানুষের শারীরিক স্বাভাবিক কাজের প্রতি পরিমাণ ও প্রকারের দৈহিক পরিশ্রম তাদের হার্টের স্বাস্থ্য ও কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ স্তরের শারীরিক পরিশ্রমের উপকারিতা হতে পারে মাংসপেশী প্রতিস্থাপন, হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্তচাপের নির্মাণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে, প্রয়োজনীয় পরিমাণের বিরতি না করে অতিরিক্ত পরিশ্রম অথবা অতিরিক্ত মানুষের প্রেশাধীনতা শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় পরিণত হতে পারে এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই উচিত পরিমাণের পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করা উচিত।


মাছ মাংস ডিম শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক?



মাছ, মাংস, এবং ডিম সম্পূর্ণতা ভিত্তিক সুস্বাস্থ্য খাবার হিসেবে পরিগণিত হয়। এদের মধ্যে অনেক প্রোটিন, ভিটামিন, ও খনিজ রয়েছে যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, কিছু মানুষ কিছু ক্ষেত্রে এই খাবারগুলির প্রতি অনুমোদন করতে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।


কোনো মানুষ যে মাছ, মাংস, ও ডিমের প্রতি প্রতিদিনের খাবারের পরিমাণ সাধারণত খায়, সেটি তার স্বাস্থ্যসম্মত একটি অন্যত্রে খোঁজা হয়। মাংস ও ডিমে রয়েছে অনেক প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ, তবে এগুলি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে অতিরিক্ত শরীরের ওজন বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


অতিরিক্ত মাছে থাকতে পারে মার্কুরি, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার কারণে শরীরের ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও, কিছু মানুষের জন্য শ্রমিক প্রতিরোধ বা অতিরিক্ত গ্লিউটেন পরিমাণে মাংস ও ডিম ক্ষতিকারক হতে পারে।


তবে, সাধারণত উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন, ও খনিজের পরিমাণে মাছ, মাংস, ও ডিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এই খাবারগুলি একটি সুস্বাস্থ্য খাবার পরিচালনা করা উচিত যেখানে তা ব্যবহার করা স্বাভাবিক পরিমাণে থাকে।


ভোজ্য তেল আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপযোগী?


ভোজ্য তেল একটি গুরুত্বপূর্ণ পোষণীয় সামগ্রী, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাট এসেঞ্চিয়াল ফ্যাট অ্যাসিড, ভিটামিন, এবং অন্যান্য পোষক উপাদান সরবরাহ করে। তবে, তা উচিত মাত্রার মধ্যে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, আলমন্ড অয়েল, মাস্টার্ড অয়েল, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদি সাধারণত প্রয়োজনীয় ফ্যাট এসেঞ্চিয়াল ফ্যাট অ্যাসিড ও ভিটামিনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে অলিভ অয়েল পুষ্টিকর এবং হার্ট স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হিসেবে পরিচিত।

তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যেকোনো প্রকারের তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে সেটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই স্বাভাবিক পরিমাণে ভোজ্য তেল খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সাধারণত প্রতি দিনে প্রায় 20-35% এর মধ্যে তেলের পরিমাণ থাকা উচিত।

একটি সুস্থ পুষ্টিগত পরিপূরক হিসেবে ভোজ্য তেল ব্যবহার করার পরে এর অতিরিক্ত খাবারে পরিবর্তন না করা উচিত। সম্পূর্ণতা হিসেবে বাজারে প্রস্তুত অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত তেল যেমন ট্রান্স-ফ্যাট এবং হাইড্রোজেনেটেড তেল থেকে দূরবর্তী থাকা উচিত।



হার্ট ব্লক হলে কী ভাবে তা কমাবেন?



 নিরামিষ খাওয়াদাওয়া আমাদের হার্টের ব্লক কমাতে কতটা সাহায্য করে?


নিরামিষ খাবার খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করতে পারে। নিরামিষ খাবারে থাকা প্রোটিন, ফাইবার, অনেক ধরণের ভিটামিন ও খনিজ পুষ্টিকর এবং মনোবল বা মানসিক স্থিতি উন্নত করে তা দেখানো হয়েছে বিভিন্ন গবেষণা ও অনুভূতির মাধ্যমে।

নিরামিষ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে প্রায়শই তেল, অতিরিক্ত প্রস্রাবিত ফ্যাট, চর্বি, উচ্চ শর্করা, ও উচ্চ নিরামিষ এসিডের খাবারের পরিমাণ কমে যায় যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও, নিরামিষ খাবার খাওয়া স্থিতিশীলতা উন্নত করে যা হার্টের স্বাস্থ্য কে উন্নত রাখে।

তবে, একটি সুস্থ জীবনযাপনের অংশ হিসেবে নিরামিষ খাবার খাওয়া প্রায়শই অন্যান্য পরামর্শ সহজলভ্য খাবার, সঠিক পুষ্টি, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, ও নিয়মিত চেকআপের সাথে যুক্ত করা উচিত। 



হার্ট ভাল রাখতে কোন তেল খাওয়া প্রয়োজন?

তেলের প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবে স্বাস্থ্যের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য। তবে, তেলের ধরণের বিষয়ে মন্তব্য করা দরকার যে, প্রতিটি ধরণের তেলের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রভাব আলাদা হতে পারে।

নারিকেল তেল: এটি স্বাস্থ্যকর তেল হিসাবে পরিচিত এবং কোনো প্রতিকূল প্রভাব নেই। নারিকেল তেলে উচ্চ পরিমাণে মোনোযোনিউনসহ লো-এসেটিক অ্যাসিড থাকায় এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এটি প্রতিটি ধরণের রান্নার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

সয়াবিন তেল: এটি অন্যত্র পাওয়া অত্যন্ত পুরোষ্কৃত একটি তেল। এটি সাধারণত উচ্চ স্তরের পলি-অনুপ্রাণিত পলি-অলিওল থাকায় স্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

সরিষার তেল: এটি মুখ্যতঃ লিনোলিক এসিডের উচ্চ একটি উৎস হিসাবে পরিচিত। এটি মধ্য তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যকর তেলের মধ্যে অন্যত্র পাওয়া অত্যন্ত কিমিউটিজান্ট থেকে একটি বিকল্প হতে পারে।

আপনার রান্না এবং প্রস্তুতির ধরণ, প্রাকৃতিক পছন্দ এবং স্বাস্থ্যের প্রতি আপনার সন্দেহ সম্পর্কে নির্ভর করবে যে তেলটি আপনি বেছে নিতে চান। তবে, স্বাস্থ্যের দিক থেকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর তেল হলো নারিকেল তেল।
A KUNDU

Post a Comment

Previous Post Next Post